একজিমা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
একজিমা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
একজিমা হল দীর্ঘমেয়াদি একটা রোগ। একজিমা রোগের সঠিক কোন ওষুধ বের হয়নি। তবে এর ব্যতিক্রম কিছু ঔষধ বা ক্রিম রয়েছে যেগুলো লাগালে একজিমা রোগ নিয়ন্ত্রণে আসে। একজিমা কমাতে একজিমা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক একজিমা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা।
একজিমার লক্ষণ কি?
- একজিমা হলে ত্বক শুকনা শুকনা অনুভূতি হবে।
- একজিমা হলে ত্বকে চুলকানি হতে পারে।
- একজিমা হলে জ্বালা অনুভূতি হতে পারে।
- একজিমা হলে চুলকানো স্থান ফুলে যেতে পারে।
একজিমা কোন ভিটামিনের অভাবে হয়
গবেষকরা গবেষণা করে পেয়েছি যে ভিটামিন ডি এর অভাবে একজিমা হয়ে থাকে। ভিটামিন ডি এর পাশাপাশি আরো অনেক বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়।
একজিমা হলে কি খাওয়া যাবে না?
- একজিমা হলে গরুর দুধ খাওয়া যাবে না।
- একজিমা হলে গরুর মাংস খাওয়া যাবে না।
- একজিমা হলে মুগ ডাল খাওয়া যাবে না।
- একজিমা হলে চুলকানি জাতীয় খাবার যেমন বাগুন, ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে।
দাউদ একজিমা ঔষধ
দাউদ বা একজিমা এই টাইপের যে চর্মরোগ হলে সেগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কার্যকারি ঔষধ কি তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। বিশেষ করে যাদের দাউদ বা একজিমা ঔষধ দেখানো হবে যা খেলে দাউদ বা একজিমা পুরোপুরি ভালো হয়ে যাবে। যত বেশি দাউদ বা একজিমা হোক না কোনো সেটা সেরে যাবে। দাউদ একজিমা ঔষধ:
- Derma 50
- Alatrol
Derma 50 খাওয়ার নিয়ম : প্রতিদিন দুপুরে ভরা পেটে একটি করে খেতে হবে।
Alatrol খাওয়ার নিয়ম : প্রতিদিন সকাল বিকাল ভরা থেকে একটি করে খেতে হবে।
আর ১ টা মলম:
- Dermasol (0.05% Ointment)
মলম লাগানোর নিয়ম যেখানে যেখানে দাউদ বা একজিমা আছে যেখানে সেখানে সকাল-বিকাল অথবা রাতে ঘুমানোর আগে লাগাতে হবে।
একজিমার ভেষজ ঔষধ
একজিমা একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ। তেমনি এই রোগের ঔষধ বা চিকিৎসা ও দীর্ঘস্থায়। ক্ষতস্থানে গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। পাশাপাশি স্যাভলন দিয়েও ক্ষতস্থান পরিষ্কার করতে পারেন। কাঁচা হলুদ নিমের কচি পাতা সুন্দর করে বেটে নিতে হবে।
এরপর ক্ষতস্থানে দিনে দুইবার লাগাতে হবে।একটু শুকিয়ে যাওয়ার দুই থেকে তিন ঘন্টা পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়ম মেনে কয়েকদিন লাগাতে হবে এবং পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যদি দেখেন যে দুই মাস লাগানো হয়ে গেছে কিন্তু কোন পরিবর্তন না আসে তখন সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
একজিমা কি ছোঁয়াচে
একজিমা ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ নয়। তবে এ রোগের জীবাণু থেকে দূরে থাকা ভালো।
একজিমার প্রতিকারের জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করা হয়:
- ত্বকের যত্ন
- ওষুধ ব্যবহার
- আলোক চিকিৎসা
- জীবনশৈলির পরিবর্তন
- লিপিড বৈষম্য চিকিৎসা
একজিমার ঔষধ
স্টেরেয়ড মলম (steroid ointments)
এমোলিয়েণ্টস (Emollients)
একজিমার ক্রিম
- Flutica, fluticason BP
- barphani Eczonil