স্বাস্থ্যকর জীবনে দিনে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত
স্বাস্থ্যকর জীবনে দিনে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত
আমাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিনে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত তা বয়সের উপর নির্ভর করে। শিশুদের জন্য ৮-১৪ ঘন্টা এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৭-৯ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। আপনি যদি দিনে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পেতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ঘুমের গুরুত্ব ও উপকারিতা
নিয়মিত ঘুম খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের মাধ্যমে শরীর ও মন প্রত্ফুলিত থাকে। ঘুম শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য খুব উপকারী। ঘুম না হলে আমাদের শরীর ও মন দুর্বল হয়। পর্যাপ্ত ঘুম শরীর ও মনকে সুস্থ রাখে।
দুপুরে কতক্ষণ ঘুমানো উচিত
যদি দুপুরে শত ব্যস্ততার মাঝে এক থেকে দুই ঘন্টা করতে পারো। তাহলে দুপুরে ১/২ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। দুপুরের ঘুমানো স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষমতার জন্য উপকারী হতে পারে। দুপুরে ঘুমালে শারীরিক ও মানসিক বিশ্রাম পাওয়া যায়। দুপুরে ঘুম আপনাকে নতুন শক্তি দেয়। তবে দুপুরে ঘুমানোর ফলে দৈনন্দিন কাজের ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হয়।
বয়স অনুযায়ী ঘুমের তালিকা
বয়স বৃদ্ধির সাথে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা বদলে যায়। শিশুদের জন্য দৈনিক ৮ থেকে ১৪ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ঘুমের সময় ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা।
শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রতিটি বয়সের জন্য ঘুমের পরিমাণ আলাদা
বয়স | ঘুমের পরিমাণ |
---|---|
নবজাতক | ১৪-১৭ ঘণ্টা |
১-২ বছর | ১১-১৪ ঘণ্টা |
৩-৫ বছর | ১০-১৩ ঘণ্টা |
৬-১৩ বছর | ৯-১১ ঘণ্টা |
১৪-১৭ বছর | ৮-১০ ঘণ্টা |
১৮-৬৪ বছর | ৭-৯ ঘণ্টা |
৬৫ বছর ও তদুর্ধ্ব | ৭-৮ ঘণ্টা |
রাতে খাওয়ার কতক্ষণ পর ঘুমানো উচিত
রাতের খাবার খাওয়ার এক থেকে দুই ঘন্টা পর ঘুমাতে যাওয়াই উত্তম। খাবার খাওয়ার এক থেকে দুই ঘণ্টা পরে ঘুমাতে গেলে রাতের খাবারগুলো সহজেই হজম হয়।
কোন কোন সময় ঘুমানো উচিত নয়
দুপুরে ১-২ ঘণ্টার বেশি ঘুমোনো উচিত নয়। এতে পরবর্তী রাত্রিতে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।আমাদের দেশের সকাল ১০টার পরে এবং সন্ধ্যায় ঘুমানোর কোন প্রচলন নেই।
৬ ঘন্টা ঘুম কি যথেষ্ট?
একজন সুস্থ মানুষের কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত