সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা

সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা

সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা হলো আর্থিক সুরক্ষা ব্যবস্থা যা একজন বীমারক্ষার মৃত্যুর পর তার পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে। আমাদের মধ্যে অনেকেই সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। এই পোস্ট টিতে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। জীবন বীমার বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে, সেগুলো নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:

সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা

আর্থিক সুরক্ষা

সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স প্রধানত আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে। বীমারক্ষার মৃত্যুর পর তার পরিবারকে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করা হয়, যা পরিবারকে আর্থিক সংকট থেকে রক্ষা করে।

আর্থিক স্থিতিশীলতা

বীমার পরিমাণ পরিবারকে দৈনন্দিন খরচ, শিক্ষার খরচ, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে সহায়তা করে।

ঋণ পরিশোধ

বীমারক্ষার মৃত্যুর পর প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে বিভিন্ন ঋণ পরিশোধ করা যায়। 

সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স ডিপিএস:

সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের ডিপিএস  বলতে একটি বিশেষ সঞ্চয় এবং পেনশন পরিকল্পনাকে বোঝায়। এই পরিকল্পনার অধীনে, গ্রাহক নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নিয়মিতভাবে জমা করেন এবং নির্ধারিত মেয়াদ শেষে সেই অর্থের সাথে সুদসহ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ফেরত পান। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের ডিপিএস সাধারণত নিম্নলিখিত সুবিধা ও বৈশিষ্ট্যগুলো অন্তর্ভুক্ত করে:
  • নিয়মিত সঞ্চয়
  • বীমা কভারেজ
  • সুদ ও বোনাস
  • ট্যাক্স সুবিধা
  • মেয়াদ নির্ধারণ
নিয়মিত সঞ্চয়: গ্রাহক একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নিয়মিতভাবে জমা দিতে পারেন, যা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে পেনশন বা ভবিষ্যতের আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে।

বীমা কভারেজ: এই সঞ্চয় পরিকল্পনার সাথে জীবন বীমা কভারেজ যুক্ত থাকে, যা গ্রাহকের অকাল মৃত্যুর ক্ষেত্রে তার পরিবারের জন্য আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে।

সুদ ও বোনাস: সঞ্চয় মেয়াদ শেষে গ্রাহক জমা করা অর্থের উপর সুদ এবং অতিরিক্ত বোনাস পেতে পারেন, যা তাদের সঞ্চয়ের পরিমাণকে বৃদ্ধি করে।

ট্যাক্স সুবিধা: অনেক ক্ষেত্রে এই ধরনের সঞ্চয় পরিকল্পনায় আয়কর ছাড় পাওয়া যায়, যা গ্রাহকের জন্য একটি অতিরিক্ত সুবিধা।

মেয়াদ নির্ধারণ: গ্রাহক তার সুবিধামত সময়ের জন্য মেয়াদ নির্ধারণ করতে পারেন, যেমন ৫, ১০, ১৫ বা ২০ বছরের জন্য।

সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স প্রতারনা:

সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির তেমন কোন প্রতারণা না থাকলে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের গুজব শোনা যায়।  তবে এই গুজব সত্য না মিথ্যা এর কোন সঠিকতা জানা যায় না বা আমরা যাচাই করি না।তবে এ কথাও সত্য যে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কুদ্দুস ও তার পরিবারের ছয় সদস্য এই বীমা প্রতিষ্ঠান থেকে দেড়শো কোটি টাকার অধিক টাকা আত্মসাৎ করেছে । 

এছাড়াও শুধু সাবেক চেয়ারম্যান নয় মুখ্য নির্বাহীকর্তা মীর রাশেদ বিনআমানের নামেও অনেক টাকা আত্মসাৎ ও নানান দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি এটাও জানা গেছে যে মীর রাশেদ বিন আমান বিদেশ থেকে পড়াশোনা শেষ করে এসে তার শ্বশুরের এই বীমা প্রতিষ্ঠানে প্রধান নির্বাহী কর্তা হিসেবে যোগ দেওয়ার পর থেকে এই কার্যক্রম শুরু করেছেন ।এজন্য প্রধান নির্বাহী কর্তা মীর রাশেদ বিন আমানকেও কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত ।

এসব জানা গেছে এক অডিট রিপোর্টে । তাই আমাদের সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের সুবিধা এবং অসুবিধা উভয় জানা আবশ্যক ।এই কারণেই আমাদের বীমা প্রতিষ্ঠান থেকে শেয়ার হোল্ডারের সংখ্যা কমে যায় যার ফলে এই ধরনের বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে যায় বা ধ্বংস হওয়ার পর্যায়ে চলে যায়।

সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স বোনাস ২০২২:

সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স তাদের গ্রাহক এবং কর্মীদের কথা চিন্তা করে ২০২২ সালে প্রচুর পরিমাণ বোনাস প্রদান করে। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স বোনাসের কারণেই তাদের গ্রাহক প্রচুর পরিমাণে বাড়তে থাকে সাথে সাথে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির শেয়ার ও বৃদ্ধি পায়।    

সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স বোনাস ২০২৩:

সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স বোনাসের পরিমাণ ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সালে বৃদ্ধি পায়। বোনাসের কারণেই সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স প্রতিষ্ঠানটির নাম ডাক রয়েছে।

সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শাখা সমূহ:

আমাদের সোনালি লাইফ ইন্সুরেন্সের শাখা সমস্ত বিভাগে রয়েছে ।এটি শুধু বিভাগ পর্যায়ে নয় বরং প্রতিটি বিভাগের কিছু সংখ্যক জেলায় আমাদের এই সোনালী ইন্সুরেন্স এর শাখা রয়েছে। শুধু তাই নয় জেলার আয়তন হিসাবে ও কয়েকটি জেলায় অনেকগুলো শাখা রয়েছে।তবে আশা করা যায় যে ভবিষ্যতে এই সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর শাখা সমূহ প্রতিটি জেলায় পৌঁছাবে। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শাখা সমূহ:

ঢাকা বিভাগ:

ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত বীমা যুক্ত জেলা সমূহ হলো ঢাকা(মতিঝিল মেট্রো, মালিবাগ, সারুলিয়া মেট্রো, উত্তরা মেট্রো),গাজীপুর(কাশিমপুর মেট্রো,গাজীপুর মেট্রো, চন্দনা চৌরাস্তা মেট্রো,কালিয়াকৈর মেট্রো),কিশোরগঞ্জ(ভৈরব মেট্রো, কিশোরগঞ্জ মেট্রো),মানিকগঞ্জ(বায়রা মেট্রো, মানিকগঞ্জ মেট্রো),নারায়ণগঞ্জ(আদমজী ইপিজেড মেট্রো, সিদ্ধিরগঞ্জ মেট্রো, সোনারগাঁ মেট্রো, নারায়ণগঞ্জ মেট্রো),মুন্সিগঞ্জ(শেখর নগর মেট্রো, মুন্সিগঞ্জ মেট্রো),নরসিংদী(নরসিংদী মেট্রো, আড়িয়াল খান মেট্রো), টাঙ্গাইল(টাংগাইল মেট্রো, টাঙ্গাইল সদর মেট্রো, নগরপুর মেট্রো, করাটিয়া মেট্রো), ফরিদপুর(ফরিদপুর মেট্রো) এবং মাদারীপুর(মাদারীপুর মেট্রো, শিবচর মেট্রো)।

চট্টগ্রাম বিভাগ:

চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত বীমা যুক্ত জেলা সমূহ হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া(ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেট্রো, আখাউড়া মেট্রো, কসবা মেট্রো, কাওতলি মেট্রো), কুমিল্লা(কুমিল্লা মেট্রো, মিয়া বাজার মেট্রো, করেকান্দি মেট্রো,নাঙ্গলকোট মেট্রো), চাঁদপুর(চাঁদপুর মেট্রো, হাজিগঞ্জ মেট্রো,সাচার মেট্রো,কচুয়া মেট্রো), লক্ষ্মীপুর(লক্ষ্মীপুর মেট্রো, কমলাপুর মেট্রো, রায়গঞ্জ মেট্রো, রামগঞ্জ মেট্রো), নোয়াখালী(মাইজদী মেট্রো, সুবর্ণচর মেট্রো,বসুরহাট  মেট্রো) ফেনী(ফেনী মেট্রো, ফুল গাজী মেট্রো, অন্যান্য2টি), রাঙ্গামাটি(কাপ্তাই মেট্রো), বান্দরবান(লামা মেট্রো, বান্দরবান মেট্রো, আলীকদম মেট্রো),চট্টগ্রাম(আগারবাদ মেট্রো,সুগন্ধা, নিউ মার্কেট মেট্রো, নজুমিয়ার হাট মেট্রো),কক্সবাজার(কক্সবাজার মেট্রো,মহেশখালী মেট্রো, অন্যান্য দুটি)।

সিলেট বিভাগ: 

সিলেট বিভাগের অন্তর্ভুক্ত  বীমা যুক্ত জেলা সমূহ হলো সিলেট(সিলেট মেট্রো), সুনামগঞ্জ(সুনামগঞ্জ মেট্রো), মৌলভীবাজার(মৌলভীবাজার মেট্রো, শ্রীমঙ্গল মেট্রো), হবিগঞ্জ(হবিগঞ্জ মেট্রো,মাধবপুর মেট্রো, অন্যান্য দুটি)।

খুলনা বিভাগ:

খুলনা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত  বীমা যুক্ত জেলা সমূহ হলো চুয়াডাঙ্গা(চুয়াডাঙ্গা মেট্রো, জীবননগর মেট্রো, আলমডাঙ্গা মেট্রো), যশোর(নওয়াপাড়া যশোর মেট্রো, যশোর মেট্রো, বেনাপোল মেট্রো), ঝিনাইদহ(ঝিনাইদহ মেট্রোো, কোট চাঁদপুর মেট্রো),খুলনা(খুলনা মেট্রো), কুষ্টিয়া( কুষ্টিয়া মেট্রো), নড়াইল(লাহুড়িয়া মেট্রো), সাতক্ষীরা(সাতক্ষীরা মেট্রো)। 

রাজশাহী বিভাগ:

রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত বীমা যুক্ত জেলা সমূহ হলো নাটোর(বনপাড়া মেট্রো), পাবনা(পাবনা মেট্রো), রাজশাহী(রাজশাহী মেট্রো),সিরাজগঞ্জ(সিরাজগঞ্জ মেট্রো)।

বরিশাল বিভাগ:

বরিশাল বিভাগের অন্তর্ভুক্ত  বীমা যুক্ত জেলা সমূহ হলো বরিশাল(বরিশাল মেট্রো, সাতলা মেট্রো), ভোলা( বোরহান উদ্দিন মেট্রো, বাংলাবাজার মেট্রো, ভোলা মেট্রো, চরফ্যাশন মেট্রো)।

রংপুর বিভাগ:

রংপুর বিভাগের অন্তর্ভুক্ত বীমাযুক্ত জেলা সমূহ হলো রংপুর(রংপুর মেট্রো, তারাগঞ্জ মেট্রো), দিনাজপুর(দিনাজপুর মেট্রো, বীরগঞ্জ মেট্রো), কুড়িগ্রাম(কুড়িগ্রাম মেট্রো, উলিপুর মেট্রো), নীলফামারী(নীলফামারী মেট্রো, সৈয়দপুর মেট্রো,দিমলা মেট্রো), গাইবান্ধা(পলাশবাড়ী মেট্রো, গাইবান্ধা মেট্রো), ঠাকুরগাঁও(ঠাকুরগাও মেট্রো, রাণীশংকালি, মেট্রোপীরগঞ্জ মেট্রো ,বালিয়াডাঙ্গা মেট্রো), পঞ্চগড়(পঞ্চগড় মেট্রো, বোদামেট্রো, দেবীগঞ্জ মেট্রো)।

ময়মনসিংহ বিভাগ: 

ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত বীমাযুক্ত জেলা সমূহ হলো ময়মনসিংহ(ময়মনসিংহ মেট্রো, উত্তরা মেট্রো, ফুলপুর মেট্রো,ঈশ্বরগঞ্জ মেট্রো), নেত্রকোনা(নেত্রকোনা মেট্রো, কেন্দুয়া মেট্রো) জামালপুর(জামালপুর মেট্রো, সরিষাবাড়ী মেট্রো এবং অন্যান্য দুটি),শ্রীপুর(শ্রীপুর মেট্রো)। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url